বিএনপির নাম ব্যবহার করে নবীন দল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে পদ বানিজ্যের অভিযোগ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় উপজেলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নবীনদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি হুমায়ুন আহমেদের বিরুদ্ধে দলের পদ বানিজ্যসহ নানা ধরণের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া প্রেস ক্লাবে মোঃ রুবেল মিয়া নামের এক ব্যাক্তি ও তাঁর পরিবার সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন। ভুক্তভোগী রুবেল মিয়া পাকুন্দিয়া উপজেলার সুখিয়া গ্রামের এংরাজ মিয়ার ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রুবেল মিয়া অভিযোগ করে বলেন, নবীন দলের সভাপতি হুমায়ুন আহমেদের বাড়ি ও আমার বাড়ি একই এলাকায়। ফলে তাঁর সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সুবাদে হুমায়ুন আহমেদ ২০১১ সালে ব্যাবসা করার কথা বলে আমার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা নেন। ওই ব্যাবসা থেকে লাভের অংশ আমাকে দেবেন-এই আশ্বাস দিয়েছিলেন।
২০১২ সালে নবীনদলের রেজিস্ট্রেশন করার কথা বলে আমার কাছ থেকে তিনি আবারও ৫ লাখ টাকা নেন। পরবর্তীতে আমাকে নবীন দলের ঢাকা বিভাগীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক পদ দেবেন-এই কথা বলে আরও ৫ লাখ টাকা নেন। এছাড়াও বিভিন্ন কারন দেখিয়ে আমার কাছ থেকে তিনি আরও দুই লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।
রুবেল মিয়া আরও বলেন, আমার কাছ থেকে কয়েক দফায় ১৭ লাখ টাকা নেওয়া হলেও আমাকে ব্যাবসার লাভ ও দলীয় পদ-পদবী কিছুই দেওয়া হয়নি। ব্যাবসার লাভ ও দলীয় পদ-পদবী না পাওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে আমার বিরুদ্ধে তার বড় ভাই ড্রাইভার আরমান আলীর মেয়ে তাজরীন আক্তার আন্নামনি কে দিয়ে মিথ্যা অপহরন মামলা দেওয়া হয়। ওই মামলায় আমি এক বছর জেল খেটেছি।
সপ্তাহখানেক আগে জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে পুনরায় টাকা ফেরৎ চাওয়ায় হুমায়ুন আহমেদ আমাকে নানাভাবে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। আমি বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি বিএনপির নেতৃবৃন্দের কাছে ১৭ লাখ টাকা ফেরতসহ প্রতারক হুমায়ুন আহমেদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।