নরসিংদী মনোহরদীতে প্রেমের ফাদে ফেলে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা, ফেসবুকে ছবি ব্যবহার করে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে ছেলেদের সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছেন তানিয়া নামের এক নারী
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, প্রকৃত নাম তানিয়া । তবে তানিয়া ছাড়াও বিভিন্ন নামে ফেসবুক আইডি খুলে উঠতি বয়সী তরুণ, প্রবাসীসহ যুবকদের প্রেমের ফাঁদে ফেলতেন তিনি। অনলাইনে নগ্ন ছবি পাঠিয়ে ঘনিষ্ট সম্পর্ক তৈরী করে প্রতারনার মাধ্যমে হাতিয়ে নিছেন লাখ লাখ টাকা।
জানা গেছে, প্রতারক তানিয়া রুপের জাদুতে ভেলকি লাগিয়ে নিঃস্ব করছে অগনিত যুবকদের। আর একটু অসতর্ক তরুণ বা যুবকরাই তার প্রধান টার্গেট।
জানা গেছে, প্রতারণা ও দেহব্যবসার সাথে জড়িত এই নারীর বাড়ি নরসিংদী মনোহরদী উপজেলা গজারিয়া মোড়ের পশ্চিম পাশে। জানা গিয়েছে তানিয়া আক্তার(২৩) পিতা, বাছির আলী,দাদা নাম নায়েক, ,
প্রথমে ফেসবুকে টার্গেট করে ছেলেদের ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট দেয় এই নারী। কিছু দিন আলাপ চারিতার পর শুরু করেন অশালীন কতাবার্তা। প্রতারক তানিয়া নিজের দেহকে পুঁজি করে অগনিত ছেলেদের সাথে ছল-ছাতুরীর মাধ্যমে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন।
তানিয়া নামের এই প্রতারকের প্রেমের ফাঁদে পড়েন এক যুবক সুজন (ছদ্মনাম) ভুক্তভোগী জানান, ‘্তানিয়া নামে এক প্রতারক নারী প্রেমের নামে আমাকে ফাঁদে ফেলে বোনের নামে রেজিষ্ট্রেশনকৃত ০১৬৪১৩৫৫৭১৩ বিকাশ নম্বরে মোট ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তার রুপে, মিষ্টি মিষ্টি কথায় তার প্রেমে পড়ে যাই। ফেসবুকে মেসেঞ্জারে দিনরাত কথা হতে থাকে, আপত্তিকর ছবিও আদান-প্রদান করে ঘনিষ্টতা বাড়াতে থাকে। এরপর এক পর্যায়ে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে অত্যান্ত সু-কৌশলে তার বিভিন্ন সময়ে নানান সমস্যার কথা বলে বিকাশে টাকা নিতে থাকে।
আরিফুল নামের একজন বলেন আমার সাথে তিন মাস হয় সম্পর্ক এক সপ্তাহ যাওয়ার পরেই নরসিংদী সদরে নিরালা হোটেলে তিন দিন স্বামী স্ত্রীর পরিচয় রাত কাটানো হয় শারীরিক সম্পর্ক হয় এবং গজারিয়া দুইটা বাড়িতে আমার সাথে সারাদিন সময় কাটায় তানিয়া, তানিয়া বাড়িতেও আমার সাথে এক বিছানায় শুয়ে থাকে যার প্রমাণ হিসেবে তানিয়া মা, ভাবি ,চাচি এবং প্রতিবেশী একজন
। আমি আসার সময় তানিয়ার মাকে টাকাও দিয়ে আসি ৫০০০ হাজার । এই ঘটনার সাথে তানিয়ার মা পুরোপুরি জড়িত তার সাথে তানিয়ার বড় মামা বক্কার হোসেন উনিও জড়িত।
‘হঠাৎ তাকে সন্দেহ হতে লাগলে যাচাই করার জন্য আমি আমার বন্ধু মহলে নিকট তার ফেসবুক আইডিটা দিলে তারাও ফেসবুকে বন্ধুত্ব করে। তানিয়া তাদের সাথেও প্রেমের ফাঁদ পাততে চেষ্টা করে। জানতে পারি তানিয়া ‘কঁথা আমি ভালোবাসি, রেখা আক্তার, শায়লা পারভীন, রিয়া আক্তার, এম টু এনালাইস, আশার আলো সহ নানান রকম নামে ফেসবুক আইডি রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন নামে হোয়াটসঅ্যাপ ও ইমু রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এভাবে প্রতারনার জালে অনেককেই জড়িয়ে বহু পরিবারকে ধ্বংস করেছে এই প্রতারক। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক যুবক বলেন, এদের সাথে বিশাল সংঘবদ্ধ চক্র মিলে এই অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
তাই বিভিন্ন মহলের দাবি, দ্রুত এই তানিয়া সহ প্রতারণায় জড়িত ভূঁয়া ব্যক্তি ও গোষ্টিকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে হাজারো তানিয়া শিক্ষা দেওয়া হোক’।
এই বিষয়ে পুলিশের সিনিয়র একজন কর্মকর্তার সাথে আলাপ কালে জানান, ‘ অনলাইন ব্যবহারকারীদের খুব বেশি সতর্ক হতে হবে। কারণ এখানে পদে পদে ফাঁদ আর বিপদ। যেকোনো ফাঁদে পা দিয়ে জীবন ধ্বংস হতে পারে। তাই সকলের সচেতনতা বৃদ্ধিতে সকলের কাজ করতে হবে
Leave a Reply