সাংবাদিক মাহামুদুল কবির নয়নের উপরে হামলার নির্দেশ দাতা কে এই আশিকুর রহমান?
নিজস্ব প্রতিবেদক। ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী আশিকুর রহমান। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, বাবার মুক্তিযোদ্ধার কাগজপত্র ও দলীয় সুপারিশে একান্ত ভাবে সরকারী চাকরি পেয়েছেন আশিক। দ্বিতীয়বার দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও, ভুয়া মুক্তিযুদ্ধের কোটায় চাকরি নিয়ে এখনো চাকরিতে বহাল, ঢাকা কলেজের কুখ্যাত ক্যাডার আশিকুর রহমান । পিতার মুক্তিযুদ্ধের কোটায় আপন চার ভাই নিয়েছেন সরকারি চাকরি। ছাত্রলীগের ক্যাডার হবার কারণে আওয়ামী লীগের আমলে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেছে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার এই আশিকুর। তার বিরুদ্ধে নিউজ করতে যাওয়ার কারণে সাংবাদিকদের হত্যার চেষ্টা করেছে এমন অভিযোগ উঠেছে। ক্ষমতাশীল দল থাকাকালীন পিতার মুক্তিযুদ্ধের সনদের অবৈধ ফায়দা নিয়ে এক পরিবারের চার ভাই করেছে সরকারি চাকরি। ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার কাজি পাড়া এলাকার আব্দুস সালাম এর ছেলে আশিক। ঢাকায় পড়াশুনা করার সুবাদে পড়েছেন ঢাকা কলেজে, করেছেন ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগে যুক্ত থাকা অবস্থায় অসংখ্য ছাত্র লাঞ্চিত ও অধিকার ক্ষুন্ন করার মতন অভিযোগ উঠেছে আশিকুর রহমান এর বিরুদ্ধে। সরকারি চাকুরিতে বহাল থাকা অবস্থায় ঝিনাইদহ চাকলাপাড়া এলাকা সহ কিছু মাদক সিন্ডিকেটের সাথে আড়ালে জড়িত রয়েছে আশিকুর রহমান। মাদকের অনুসন্ধানে ঝিনাইদহ চাকলাপাড়াই অনুসন্ধানে যাওয়ার পর নতুন ভাবে নাম উঠে আসে আশিকুর রহমানের।। সাংবাদিকরা আশিকুর রহমানকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করবে এমন তথ্য তিনি আগেই জানতে পেরেছেন তার সোর্সের মাধ্যমে। তথ্য জানার সাথে সাথেই মুঠোফোনে নির্দেশ দিয়েছিলেন সাংবাদিক মাহামুদুল কবির নয়নের উপরে আক্রমণ করার জন্য। বাবা মুক্তিযোদ্ধা ও তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল ক্ষমতায় থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা নেননি সাংবাদিক মাহামুদুল কবির নয়ন। ব্যবস্থা নিয়েই বা কি করবেন, ক্ষমতা থাকার কারণে তারা মানুষকে মানুষ মনে করেননি। নিজের খেয়াল খুশিমতো যা ইচ্ছে তাই করেছে। নিজেকে মনে করেছেন রাজা আর আশেপাশের সব মানুষকে মনে করছেন গোলাম। জানা যায় ঝিনাইদহ জীবননগর এলাকায় মাঝে মধ্যেই ফেন্সিডিল সেবন করেন তিনি। শুধু সাংবাদিকের উপরে আক্রমণ করে ক্ষান্ত হননি আশিকুর রহমান। দৈনিক ক্রাইম তালাশে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের নিউজ কার্ড প্রকাশের পরে ঝিনাইদহ বিভিন্ন এলাকার সাংবাদিকদের দিয়ে প্রথমে হুমকি দেয়ার চেষ্টা করেছেন এবং সংবাদ মুছে দেয়ার চাপ সৃষ্টি করে আসছেন। কিন্তু স্বাধীন দেশে আর কোন সন্ত্রাসীর কোন ক্যাডারের থাই হবে না। তার বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির দাবি উঠেছে জনসমাজে। যাতে করে পরবর্তীতে মাদক কারবারীদের মাধ্যমে সুস্থ সমাজ নষ্ট না হয়ে যায়। যখন হুমকি দিয়ে চাপ সৃষ্টি করে কোন কিছুতেই চুপ করাতে পারছিলেন না সাংবাদিকদের। পরবর্তীতে দৈনিক ক্রাইম তালাশ এর প্রকাশক ও সম্পাদক সাংবাদিক মাহামুদুল কবির নয়নকে লক্ষ্য টাকা দিয়েও ম্যানেজ করতে চেয়েছেন আশিকুর রহমান। নাম বলতে অনিচ্ছুক জীবন এলাকার একজন জানান, আশিকুর রহমানের সরকারি চাকুরি মানুষ দেখানো মাত্র। তার প্রধান পেশা মাদক ব্যাবসা বা মাদক ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা দেয়া। তিনি একজন মাদক ব্যবসায়ী ও ক্যাডার গ্রুপের প্রধান। তিনি চুয়াডাঙ্গার জীবন নগর সহ অসংখ্য ফেন্সিডিল স্পষ্টে তিনি মাদক সেবন করতো। অন্যদিকে সরকারি ও আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় কতজনের চাকরি হয়েছে এর একটি তালিকা তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। উপদেষ্টা বলেন, যাদের মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি হয়েছে তারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কি না, ন্যায্যভাবে হয়েছে কি না বিষয়টি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব। একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ না করে যারা মুক্তিযোদ্ধার সনদ নিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেন, ‘বিগত আন্দোলনে প্রধান বক্তব্য ছিল মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কোটা। তাই মুক্তিযোদ্ধা কোটায় কতজনের চাকরি হয়েছে তার একটি তালিকা প্রস্তুত হওয়ার পর পুরো বিষয়টি নিয়ে আমরা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব।’ উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘যাদের মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি হয়েছে তারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কি না, ন্যায্যভাবে হয়েছে কি না বিষয়টি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব। এ বিষয়ে কাজ হচ্ছে। সেখানে বহুবিধ মামলা রয়েছে। সেখানে ৩ হাজার ৭০০- এর মতো মামলা পেন্ডিং আছে, রিট করা আছে- সেই মামলাগুলো অ্যাড্রেস করা হবে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করতে পারলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘কেন নেব না। এটা তো জাতির সঙ্গে প্রতারণা। এটা তো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যারা সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা তারা এ বিষয়টি নিয়ে অপমানিত বোধ করছেন।’ সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা এ কথা বলেন। অপরদিকে ঢাকা কলেজে ছাত্রদলের শাফিন হাসান মিরাজ বলেন, তিনি ছাত্রলীগের একজন ক্যাডার ঢাকা কলেজের সবকিছুতেই তার সিন্ডিকেট ছিল। কলেজ হোস্টেলে সিট দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন ছাত্রদের থেকে নিয়েছেন টাকা। কলেজে থাকাকালীন সময়ে চালিয়েছেন তাণ্ডব তার বিরুদ্ধে কেউ কোনো কথা বললেই হতে হয়েছে রাগিংয়ের শিকার। আমরা নির্যাতিত ছাত্ররা চাই তার কঠিন থেকে কঠিনতর শাস্তি হোক এবং তার চাকরি কিভাবে হয়েছে এটা খতিয়ে দেখা হোক। স্বাধীন দেশে কোন চামচামি, চিটারি, বাটপারি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড না থাকুক। সুন্দর একটি দেশ আমাদের সোনার বাংলাদেশ। এই সোনার বাংলাদেশ কোন সন্ত্রাসীর থাই না হোক।
Leave a Reply