মোঃ মুরাদ হোসেন,স্টাফ রিপোর্টারঃ ঢাকা আহছানিয়া মিশন কর্তৃক বেনাপোল পৌরসভার তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়িত ওয়াটার: সাসটেইনেবল আরবান প্রভিশন, বেনাপোল প্রজেক্ট এর অধীনে আজ ২৯ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ বেনাপোল পৌরসভার মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ে বিশ্ব পানি দিবস ২০২৫ উদযাপনের অংশ হিসেবে আয়োজিত হয় “নিরাপদ পানি সচেতনতা ক্যাম্পইন”।
বেনাপোল পৌরসভায় স্থাপিত ৪১টি আর্সেনিক আয়রন রিমুভাল প্ল্যান্ট (এআইআরপি)’র কেয়ারটেকার এবং ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রতিনিধি ও উপকারভোগীদের প্রতিনিধিবৃন্দ এ উপলক্ষে আয়োজিত বর্ণাঢ্য র্যালি ও এওয়ারনেস সেশনে অংশগহণ করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বেনাপোল পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শওকত মেহেদী সেতু ।
উল্লেখ্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার, শার্শা এবং বেনাপোল পৌরসভার প্রশাসক ডা. কাজী নাজিব হাসান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকা কথা থাকলেও অনুষ্ঠানের ঠিক পূর্বক্ষণে সরকারী অধিকতর জরুরী কাজে তাঁকে উপজেলার বাইরে গমন করতে হয়েছে বিধায় তার প্রতিনিধি হিসেবে সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ের সভাপতি হাবিবর রহমান হবি চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বেনাপোল পৌরসভার পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম বিশ্বাস, মরিয়ম বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: রমজান আলী ও হাবিবুর রহমান বিশ্বাস পাবলিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক লাবনী আক্তার। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো: ইকবাল হোসাইন।
উপস্থিত এআইআরপি’র প্রতিনিধিবৃন্দ তাদের অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি ব্যাক্ত করতে গিয়ে বলেন যে, স্থাপিত এই এআইআরপি দ্বারা আমরা ভীষণ ভাবে উপকৃত হয়েছি। যুগ যুগ ধরে আমরা নিরাপদ পানির অভাবে আমরা সীমাহীন দূর্ভোগে কাটাচ্ছিলাম। এ প্রযুক্তি দ্বারা সে কষ্ট থেকে মুক্তি পেয়েছি।
প্রধান অতিথি বলেন, এই এআইআরপি প্রযুক্তির একেবারেই প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে পানি পরিশোধন করা হয়, যাতে কোন প্রকার ক্যামিক্যাল ব্যবহৃত হয় না। ফলে এই পানি স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। সুতরাং এটি টিকিয়ে রাখা আপনাদের নৈতিক দ্বায়িত্ব। এর স্থায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করতে সম্মিলিত ভাবে তহবিল সঞ্চয় এবং সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণে কোন গাফিলতি না করার জন্য তিনি অনুরোধ করেন।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ও অতিথিবৃন্দ এ ধরনের সেবামূলক কাজ করার জন্য ঢাকা আহছানিয়া মিশনের প্রশংসা করেন।
এওয়ারনেস সেশন শেষে বিদ্যালয় ক্যম্পাস থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়, আশ পাশের পাড়া-মহল্লা প্রদক্ষিণ শেষে র্যালিটি পূনরায় বিদ্যালয়ে এসে শেষ হয়।
Leave a Reply